শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সহিংসতা অবসানের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত ঢাকাস্থ লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ এর আংশিক কমিটির অনুমোদন লালমনিরহাটে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শামীম কামাল-এঁর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের হরিণচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের খোড়াগাছ দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নব যোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ধান ক্ষেত থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
করোনার টিকা নিবন্ধন করতে গিয়ে স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত রায় জানলেন তিনি মারা গেছেন

করোনার টিকা নিবন্ধন করতে গিয়ে স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত রায় জানলেন তিনি মারা গেছেন

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়া টেপা গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত রায়। তিনি আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের বালাপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক। করোনার টিকা নিবন্ধনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অকার্যকর দেখালে তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ৩ জুন তিনি মারা গেছেন। তাই তালিকা থেকে তাঁর নামও বাদ দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় মন মোহন রায় নামের এক ব্যক্তি ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীকান্ত রায়ের ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে মন মোহন নিজেকে লক্ষ্মীকান্ত রায়ের ভাই উল্লেখ করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়। যাচাইপত্রে স্বাক্ষর আছে মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিবেরও। তৎকালীন লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আফতাব উজ্জামানের অনুমোদনে তালিকা থেকে লক্ষ্মীকান্ত রায়ের নাম বাদ দেওয়া হয়। আফতাব উজ্জামান এখন নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

লক্ষ্মীকান্ত রায় পেশায় স্কুল শিক্ষক। করোনার টিকার নিবন্ধন করবেন। গেছেন স্থানীয় কম্পিউটারের দোকানে। নিবন্ধন নিচ্ছে না। ইন্টারনেট সমস্যা? গেলেন আরেক দোকানে। হলো না। আরও দু-এক দোকানীর চেষ্টাও ব্যর্থ হলো। গেলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে। গিয়ে জানলেন, তিনি মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে! জানাজানি হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি।

লক্ষ্মীকান্ত রায়ের অভিযোগ, মন মোহন রায়ের সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁর বিরোধ আছে। মামলাও চলছে। এ কারণেই মন মোহন এমন কাজ করেছেন। মন মোহন তাঁর প্রতিবেশী।

তবে মন মোহন রায় সাংবাদিকদের বলেন, লক্ষ্মীকান্ত রায়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কথা সত্য; কিন্তু তিনি ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ্মীর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেননি।

যে স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মীকান্তের কথিত মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন, তাঁর নাম মোঃ মোমিনুর রহমান। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

মোমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কাকেয়া টেপা গ্রামের মন মোহন রায়ের মাধ্যমে অবহিত হয়ে লক্ষ্মীকান্ত রায়ের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের সুপারিশ করেছি।

মোমিনুর রহমান সাংবাদিকদের আরও বলেন, তাঁরা একই গ্রামের, দুজনের বংশপদবিও এক। তাই মন মোহনের কথা বিশ্বাস করেছি।

আফতাব উজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নাম কর্তনের আবেদনে সবার শেষে রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে আমাকে স্বাক্ষর করতে হয়। যিনি নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন, যিনি তথ্য সংগ্রহ করেছেন, যাচাই করেছেন, তাঁরা ভুল তথ্য দিলে অফিসে বসে আমার পক্ষে তা ধরা কঠিন।

লক্ষ্মীকান্ত রায় সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালে মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি তিনি। তখন মনে করেছিলেন, ভুল করে হয়তো কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম আসেনি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বর্তমান নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল সাংবাদিকদের বলেন, লক্ষ্মীকান্ত রায়সহ লালমনিরহাট সদর উপজেলার আটজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত্য দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বাকিদের পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।

২২ ফেব্রুয়ারি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি সমাধানের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন লক্ষ্মীকান্ত রায়। নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি সুরাহা করতে একটু সময় লাগবে।

লক্ষ্মীকান্ত রায় সাংবাদিকদের বললেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এক মাসের মধ্যে সমাধান না করে দিলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone